-->

বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮

মাধ্যমিক ২০১৮ মেধা তালিকা || ২০১৮ মাধ্যমিক পরীক্ষার টুকিটাকি তথ্য

মাধ্যমিক ২০১৮ টুকিটাকি খবর


মাধ্যমিক ২০১৮ মেধা তালিকা

২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১২ মার্চ ২০১৮ তে। এবং শেষ হয়েছিল ২১ মার্চ ২০১৮ তে। ২০১৮ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ১১,০২,৯২১ জন। এর মধ্যে ৬,২১,২৬৬ জন ছাত্রী এবং ৪, ৮১, ৫৫৫ জন ছাত্র। অর্থাৎ লক্ষ করা যাচ্ছে গতবছর ছাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০১৮ মাধ্যমিকে প্রায় ২৮১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮-র মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ৬ জুন ২০১৮ তারিখে।

মাধ্যমিক ২০১৮ ফলাফলের সকল তথ্য এক নজরে

মাত্র ৭৭ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল৷ এবারে কমল পাশের হার৷ এই বছর মোট সাফল্যের হার ৮৫.৪৯ শতাংশ৷ যা গত বছর যা ছিল ৮৫.৬৫৷ এবছর ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও ছাত্র পরীক্ষার্থীর তুলনায় ছিল ১১.৯১ শতাংশ বেশি । যা গতবারের তুলনায় ১.৫১ শতাংশ বেশি । সমগ্র পাশের হারে মেয়েরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও এবছর ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল গতবারের তুলনায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৮ জন বেশি । জেলাভিত্তিক পাসের হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.১৩ শতাংশ)। মেধা তালিকাতে প্রথম হয়েছে সঞ্জীবনী দেবনাথ (কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির) তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্ধমানের শীর্ষেন্দু সাহা ৷ তৃতীয় তিনজন৷ সুনীতি অ্যাকাডেমির ময়ূরাক্ষী সরকার৷ জলপাইগুড়ির নীলব্জা দাস৷ জলপাইগুড়িরই মৃন্ময় মণ্ডল৷ প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭

জেলা ভিত্তিক পাশের হার-

জেলা ভিত্তিক পাশের হার দেখলে সবার ওপরে থাকবে পূর্ব মেদিনীপুর। বরাবরের মত এবারেও পূর্ব মেদিনীপুর পাশের হারের দিক থেকে সকল জেলাকে পেছনে ফেলে দিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে। এক নজরে প্রথম কয়েকটি জেলার ফলাফল দেখে নেওয়া যাক-


  • পূর্ব মেদিনোপুরের পাশের হার- ৯৬.১৩%
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশের হার- ৯১.৭৫%
  • কলকাতার পাশের হার- ৯১.১১ %
  • দক্ষিন ২৪ পরগনার পাশের হার-৯১.০৭ %
  • উত্তর ২৪ পরগনার পাশের হার- ৯০.৮৬ %
  • হুগলির পাশের হার- ৮৮.৯৭%
  • হাওড়ার পাশের হার- ৮৮.১২ %
  • নতুন জেলা কালিংপঙের পাশের হার- ৮৬.৯৫ %

মাধ্যমিক ২০১৮ মেধা তালিকা

প্রথম দশের মেধাতালিকাতে মোট ৫৬ জন স্থান পেয়েছে। এই ৫৬ জনের মধ্যে ২১ জন ছাত্রী রয়েছেন ।

এবার দেখে নেওয়া যাক মাধ্যমিক ২০১৮ মেধা তালিকা তে কে কে স্থান পেলো।

প্রথম- সঞ্জীবনী দেবনাথ (কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির) তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
সঞ্জীবনী দেবনাথ
সঞ্জীবনী দেবনাথ


দ্বিতীয়- শীর্ষেন্দু সাহা (পূর্ব বর্ধমানের সাতগাছিয়া হাইস্কুলের). পেয়েছে ৬৮৮।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে তিনজন-
১. কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ময়ূরাক্ষী সরকার।
২. জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের নীলাব্জ দাস ও ওই স্কুলেরই মৃন্ময় মণ্ডল। এরা প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭।

চতুর্থ- দীপ গায়েন (উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দির )। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।

পঞ্চম হয়েছে পাঁচজন-
১. কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির অঙ্কিতা দাস।
২. বাঁকুড়া গোগরা হাইস্কুলের সৌমী নন্দী ও
৩. বাঁকুরার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের সৃজা পাত্র।
৪. পশ্চিম মেদিনীপুরের শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের অনীক জানা ও
৫. উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া হার্নেট হাইস্কুলের প্রথমকান্তি মজুমদার। এদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ছয় জন-
১. কোচবিহারের দিনহাটা হাইস্কুলের সুমিত বাগচী।
২. জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের নিধি চৌধুরী।
৩. বর্ধমানের পারুলিয়া কে কে হাইস্কুলের অরিত্রিকা পাল।
৪. বর্ধমানের কান্দারা জ্ঞানদাস মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রতিমান দে।
৫. বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের শ্রুতি সিংহ মহাপাত্র এবং
৬. বীরভূমের নবনালন্দা শান্তিনিকেতন স্কুলের রৌনক সাহা। প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।

সপ্তম স্থানে রয়েছে পাঁচজন-
১. কোচবিহার মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের মহাশ্বেতা হোম রায়।
২. বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য ও
৩. বর্ধমানের সুলতানপুর তুলসীদাস বিদ্যামন্দিরের অরিন্দম ঘোষ।
৪. দক্ষিণ দিনাজপুরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যাভবনের পারমিতা মণ্ডল ও
৫. দক্ষিণ দিনাজপুরের বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের সার্থক তালুকদার। প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩।

অষ্টম স্থানে রয়েছে ৯ জন-
১. কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলের দেবস্মিত রায়।
২. আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি হাইস্কুলের তাপস দেবনাথ।
৩. দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী হাইস্কুলের জুমানা নারজিস।
৪. মালদার এসি ইনস্টিটিউশনের অরিন্দম সাহা।
৫. বাঁকুড়া বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের অনমিত্র মুখোপাধ্যায়,
৬. বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের দেবারতি পাঁজা
৭. বাঁকুড়া বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের দিশা মণ্ডল।
৮. হুগলির চন্দননগর কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের প্রেরণা মণ্ডল।
৯. বাঁকুড়া সিমলাপাল মদনমোহন হাইস্কুলের রূপ সিংহবাবু। এদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২।

নবম হয়েছে ১১ জন-
১. কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ঐতিহ্য সাহা।
২. দার্জিলিঙের বাগডোগরা বালিকা বিদ্যালয়ের সায়ন্তিকা রায়।
৩. মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অম্লান ভট্টাচার্য
৪. মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের সায়ন্তন চৌধুরী।
৫. মালদার মোজাপুর এমএসএসবি হাইস্কুলের মহম্মদ রফিকুল হাসান।
৬. বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের সায়ন নন্দী।
৭. হুগলির মগরা উত্তমচন্দ্র হাইস্কুলের সৌত্রিক শূর।
৮. হুগলির সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের তন্ময় চক্রবর্তী।
৯. বীরভূমের সিউড়ি পাবলিক চন্দ্রগতি হাইস্কুলের সোহম আহমেদ।
১০. নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের সৈকত সিংহরায়।
১১. উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া হার্নেট হাইস্কুলের স্বস্তিক ঘোষ। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১।

দশম হয়েছে ১৪ জন-
১. কোচবিহার মাথাভাঙা হাইস্কুলের বৈদুর্য বিশ্বাস
২. কোচবিহার মাথাভাঙা হাইস্কুলের সুমন সাহা।
৩. আলিপুরদুয়ার নিউটাউন গার্লস হাইস্কুলের প্রিমরোজ সরকার।
৪. মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের মীর মহম্মদ ওয়াসিফ।
৫. মালদার এসি ইনস্টিটিউশনের অরিত্র সরকার।
৬. মালদার বামনগ্রাম এইচএমএএম হাইস্কুলের তমান্না ফিরদৌস।
৭. বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের অন্বেষা দেঘুড়িয়া।
৮. বাঁকুড়া বরজোড়া হাইস্কুলের গৌরব মণ্ডল।
৯. হুগলির ঘোড়াদহ এসি হাইস্কুলের মোনালিসা সামন্ত।
১০. বীরভূমের বিকেটিপিপি বিদ্যালয়ের শুভম রায়।
১১. পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের অগ্নিভ সিংহ।
১২. পূর্ব মেদিনীপুরের বাগমারী নারী কল্যাণ শিক্ষা সদনের দেবান্ন প্রধান।
১৩. কলকাতার টাকি গভর্মেন্ট স্পনস্পর্ড মাল্টিপারপস স্কুলের পবিত্র সেনাপতি।
১৪.পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ইন্দ্রজিত মিশ্র। এরা প্রত্যেকেই পেয়েছে ৬৮০

NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner